
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রায় পঁচানব্বই ভাগ পূরণ হয় বেসরকারি শিক্ষা থেকে। এখানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা এমপিও-র মাধ্যমে সরকার দিয়ে থাকে। দুঃখজনক হচ্ছে, এই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা এবং এর ধাপ, পদবিন্যাস ও পদোন্নতি এক আশ্চর্য ফাঁকি দিয়ে তৈরী।
সাধারণ মানুষ যার মাথামুণ্ড কিছুই জানে না! এবার এই আন্দোলনের মাধ্যমে কেবল এইটুকুই জানলো যে, একজন সহকারী শিক্ষকের বাড়িভাড়া মাসে ১০০০ (এক হাজার) টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ (পাঁচশ) টাকা পেয়ে থাকেন! আর তার সাথে মাসে ১২৫০০ মূল বেতন! এবার হিসাব নিশ্চয়ই মেলাতে পারবেন একজন সহকারী শিক্ষক মাসে সব মিলিয়ে কত টাকা বেতন পান! এরপর সারাজীবনে তার কতটুকু পদোন্নতি হয় জানলে নিশ্চয়ই আঁৎকে উঠবেন! সুতরাং, পরবর্তী লেখার জন্য তা বাকি রইল।
এইভাবে, স্কুল-কলেজ এবং এমনকি, বিসিএস-এর মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষা ক্যাডার শিক্ষার সর্বস্তরে এরূপ বঞ্চনা ও বৈষম্যেরই গল্প পাবেন! যে সমস্ত বঞ্চনা ও বৈষম্য ওইসব নীতি-নির্ধারকদের মধ্যে পাবেন না! অর্থাৎ, তারা নিজেরটুকু শতভাগ নিয়ে অন্যদের ক্ষেত্রে বাজেট স্বল্পতা ও ঘাটতির গল্প জারি রাখেন! অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া শিক্ষার প্রতিটি জায়গায় বঞ্চনার বীজ পুঁতে রাখা হয়েছে। এ- বিষয়ে সাধারণত, এই রাষ্ট্র-ব্যবস্থায় কেউ মাথায় ঘামান না! কিন্তু দিন ধীরে-ধীরে বদলাচ্ছে! সুতরাং, জবাবদিহিতার দিন ঘনিয়ে আসছে!
লেখক: আমীর কাজী, শিক্ষক ও সমাজকর্মী